Story of Bhagirath & Ganga ভগীরথ কেন এবং কিভাবে গঙ্গাকে মর্ত্যে আনলেন?

 🚩ভগীরথ কেন এবং কিভাবে গঙ্গাকে মর্ত্যে আনলেন?


অয্যোধ্যা নগরীর এক রাজা ছিলেন সগর। তার দুই স্ত্রী। একজন কেশিনী, অপরজন গরুড় ভগিনী সুমতি। মুণি ভৃগুর বরে কেশিনী একমাত্র বংশধর অসমঞ্জ নামে এক পুত্রের জন্ম দেন। সুমতি এক গর্ভপিন্ডের জন্ম দেন। সেই পিন্ড থেকে ৬০,০০০ পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ৬০,০০০ ঘি পূর্ণ কলসীতে সেই পুত্রদের রেখে ধাত্রীমাতারা তাদের বড় করেন। 

একবার সগর রাজা অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করলেন। ইন্দ্র যজ্ঞের ঘোড়া পাতালে লুকিয়ে রাখলেন। সগর রাজার ৬০,০০০ পুত্র সেই ঘোড়া খুঁজতে খুঁজতে পাতালে এল। সেখানে তারা ঘোড়াটিকে খুঁজে পেল। ঘোড়াটির পাশে তারা তপস্যারত এক মুণিকে দেখলেন। তিনি ছিলেন ব্রহ্মা-পুত্র কর্দমের পুত্র বিষ্ণুর অবতার কপিল মুণি। কপিল মুণি ঘোড়াটি অপহরণ করেছেন এমন সন্দেহে সগর পুত্ররা তাকে আক্রমণ করলেন। ক্রুদ্ধ হয়ে কপিল মুণি তাদের ভষ্ম করে দিলেন।

সগরের অপর পুত্র অসমঞ্জের পুত্র অংশুমান পিতৃব্যগণের খোঁজে সেই ভষ্মস্থানে এলেন। সেখানে তাদের শ্রাদ্ধশান্তির জন্য পবিত্র জলের প্রয়োজন হল। কিন্তু কোথাও জল পাওয়া গেল না। তখন গরুড় পরামর্শ দিলেন, স্বর্গের পবিত্র নদী গঙ্গাকে সেই স্থানে এনে পিতৃব্যদের শ্রাদ্ধাদি সম্পন্ন করতে।

হিমালয়ের সাথে সুমেরু কন্যা মেনার বিবাহ হয় এবং তাদের এক কন্যা উমা ছিলেন শিবের স্ত্রী। অপর কন্যা গঙ্গা স্বর্গের পবিত্র নদী রূপে প্রবাহিত হত।

 অংশুমানের পুত্র দিলীপ। দিলীপ গঙ্গাকে মর্ত্যে নামিয়ে আনার দ্বায়িত্ব দিলেন পুত্র ভগীরথকে। কঠোর তপস্যায় ভগীরথ ব্রহ্মাকে খুশি করে গঙ্গাকে মর্ত্যে আনার অনুমতি পেলেন। কিন্তু সেই নদীর প্রবল স্রোত ধারণ করবে কে! সেই জন্য ভগীরথ মহাদেবের তপস্যা করলেন। তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব গঙ্গাকে জটায় আবদ্ধ করলেন। তারপর তাকে সাত ভাগে  ভাগ করে দিলেন। হ্লাদিনী, পাবনী, নলিনী নামক তিন স্রোত পশ্চিমে, সুচক্ষু, সীতা, সিন্ধু নামক তিন স্রোত পূর্বে, এবং একটি স্নিগ্ধ, নির্মল স্রোত ভগীরথের রথের পিছনে আসতে থাকল। ভগীরথের রথ এল সেই স্থানে যেখানে সগর রাজার ৬০,০০০ পুত্র কপিল মুণির ক্রোধে ভষ্ম হিয়ে গিয়েছিল। পবিত্র নদীর জলধারার স্পর্শে তাদের পাপ মুক্তি ঘটল এবং তারা স্বর্গারোহন করলেন।

পথমধ্যে জহ্নু নামে এক মুণির যজ্ঞস্থল গঙ্গার স্রোতে প্লাবিত হয়েছিল। সেই কারণে জহ্নু তার জল পান করে ফেলেন। ভগীরথের প্রার্থনায় তিনি গঙ্গাকে মুক্ত করেন। তার গঙ্গার অপর নাম হয় জাহ্নবী। ভগীরথ গঙ্গাকে মর্ত্যে আনায় তার অপর নাম হয় ভাগীরথী।

(কাহিনীসূত্রঃ বালকান্ড, বাল্মিকী রামায়ণ)

♦সাথে থাকুনঃ 

Youtube www.youtube.com/KNOWLEDGETREEIndia 

Facebook Knowledge Tree Education

Instagram www.instagram.com/knowledge.tree.education 

Twitter www.twitter.com/KnowledgeTreeIn

Email mail2knowledge.tree@gmail.com

 

I’d love to know what you thought of this post. Do you have any of your own tips? Let’s get the conversation going!”


Comments

Popular Stories on this blog

Chandravati Ramayana চন্দ্রাবতী রামায়ণ

গ্রীসের দেবদেবী: পর্ব ১ আদিম দেবতা

কৌশিকী অমাবস্যায় জানুন দেবী কৌশিকী আসলে কে? kaushiki amavashya | Goddess Kaushiki