Laxman Rekha in Valmiki Ramayan
লক্ষ্মণরেখার কথা বাল্মিকী রামায়ণে কোথাও নেই
পৌরাণিক কাহিনী থেকে যে সকল শব্দ মানুষের রোজকার জীবনে ঠাঁই করে নিয়েছে, এমন একটি শব্দ লক্ষণরেখা। কথাটি রামায়ণের একটি কাহিনীর থেকে এসেছে। সোনার হরিণরূপী মারীচ নামক মায়াবী রাক্ষসের পিছু ধাওয়া করছেন রামচন্দ্র। সেই মায়াবী রাক্ষস রামের কন্ঠ অনুকরণ করে ভাই লক্ষণকে ডাক দিলেন। ওদিকে কুঠীরে সীতা ও লক্ষ্মণ রয়েছেন। রামেরকাতর কন্ঠ শুনে সীতা লক্ষ্মণকে অনুরোধ করলেন দাদা রামকে বিপদে সাহায্য করতে। কুঠীরে একাকী সীতাকে রেখে যাওয়ার জন্য কুঠীরের চারিধারে এক গন্ডী টেনে দিলেন লক্ষ্মণ। সেই গন্ডী অতিক্রম করে কেউ সীতার ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু ব্রাহ্মণবেশী রাবণকে ভিক্ষা দিতে সীতা সেই গন্ডী অতিক্রম করলে রাবণ তাকে অপহরণ করেন।
রামায়ণের এই কাহিনী থেকে লক্ষ্মণরেখা কথাটি প্রচলিত হয়েছে। যদিও মূল বাল্মিকী রামায়ণে এই কাহিনীর কোনো উল্লেখ নেই। লক্ষ্মণরেখার কথা বাল্মিকী রামায়ণে কোথাও নেই। সবচেয়ে প্রাচীন আঞ্চলিক (তামিল) রামায়ণ "কম্বন রামায়ণ" -এ এমন কোনো কাহিনী নেই। লক্ষণরেখার উল্লেখ পাব বাংলা কৃত্তিবাসী রামায়ণে। এছাড়া আর একটি তেলেগু রামায়ণ "রঙ্গনাথ রামায়ণে" লক্ষ্মণরেখার কাহিনীটি আছে। রামচরিতমানসে পরোক্ষভাবে লক্ষ্মণরেখার উল্লেখ আছে। লক্ষ্মণের অাঁকা রেখা রাবণ অতিক্রম করতে না পারায় মন্দোদরী তাকে ভৎসনা করছেন। এছাড়া এই কাহিনীর উল্লেখ রয়েছে ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে।
Comments
Post a Comment