মহিষাসুরের জন্ম Birth of a Demon King : Mahishasura
𝕭𝖎𝖗𝖙𝖍 𝖔𝖋 𝖆 𝕯𝖊𝖒𝖔𝖓 𝕶𝖎𝖓𝖌: 𝐌𝐚𝐡𝐢𝐬𝐡𝐚𝐬𝐮𝐫𝐚
▀▄▀▄▀▄▀▄▀ মহিষাসুরের জন্ম ▄▀▄▀▄▀▄▀▄
বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা আবালবৃদ্ধবনিতা বাঙালী যাদের সবথেকে বেশী অপছন্দ করে, এমন তালিকার প্রথমেই থাকবে মহিষাসুরের নাম। বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপুজোর সময় মহিষাসুর বধ কারিণী দেবীর যে মূর্তি আমরা নানা পুজো প্যান্ডেলে দেখি, সেখানে মহিষাসুরের ভীষণ দর্শন চেহারা নিয়ে কত পরীক্ষা নিরিক্ষা চলে! মা দূর্গাকে নিয়ে বাঙালীর আবেগ এতটাই প্রবল যে মহিষাসুরকে বধের দৃশ্য দেখে তারা যারপরনাই আনন্দ পায়। কারণ, মহিষাসুরের বধের মধ্যে দিয়ে তারা তাদের সকল দুঃখ, কষ্ট, অসহায়তার অবসান খুঁজে পেতে চায়। দেবী যেমন মহিষাসুরকে বধ করে ত্রিভুবনকে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন, মানুষ বিশ্বাস করে, ঠিক এমনভাবেই দেবী তাদের সকল বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।
মহিষাসুর বধ নিয়ে যে পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে, তা অতি প্রচলিত এবং জনপ্রিয়। সে কাহিনী তো সকলেরই জানা। তবে এই মহিষাসুর নামে অসুরটির জন্ম কিভাবে হল, সেই কাহিনীটি খুব একটা প্রচলিত নয়। তাই, আজ সেই কাহিনীটি বলতে চলেছি। জন্মকাহিনীটি একটু আগে থেকে আগে থেকে শুরু করি! কোথা থেকে শুরু করা যায়🤔!
চলুন, ব্রহ্মা থেকেই শুরু করি।
ব্রহ্মার দশ মানসপুত্রের একজন হলেন মরীচি। তিনি সপ্তর্ষিমন্ডলের একজন। মরীচির পুত্র হলেন কাশ্যপ। কাশ্যপের সাথে দক্ষের ( শিব-পত্নী সতীর পিতা) তেরো কন্যার বিবাহ হয়েছিল। এই তেরো কন্যার মধ্যে অদিতি এক কন্যা যার পুত্ররা আদিত্য নামে খ্যাত! এই বারো আদিত্য হলেন দেবতা। এছাড়াও দিতি, দনু, কদ্রু, বিনতা, সুরভী প্রমুখ দক্ষকন্যাগণও কাশ্যপের স্ত্রী ছিলেন। এর মধ্যে দিতির পুত্ররা দৈত্য, দনুর সন্তানরা দানব নামে পরিচিত হন। সমুদ্র মন্থনের সময় দিতির পুত্র আদিত্যগণ সুরা লাভ করে সুর নামে পরিচিত হন এবং কাশ্যপের বাকী পুত্ররা যারা সুরা বা অমৃত থেকে বঞ্চিত হলেন, তারা অসুর নামে পরিচিত হলেন।
দনু এবং কাশ্যপ মুণির দুই পুত্র হলেন দুই পুত্র হলেন রম্ভ এবং করম্ভ। এই দুই অসুর দনুর পুত্র বা দানব। মহাশক্তিমান পুত্র লাভের আশায় দুই ভাই কঠোর তপস্যা করতে লাগলেন। করম্ভ সিন্ধু নদীতের জলতলে তপস্যা শুরু করলেন। রম্ভ একটি পিপুল গাছের তীরে অগ্নিদেবের তপস্যা করতে লাগলেন। তাদের তপস্যা ভঙ্গ করতে ইন্দ্র এক কুমীরের রূপ নিয়ে জলমগ্ন করম্ভকে হত্যা করলেন। ভাইয়ের হত্যার খবর শুনে রম্ভ নিজের মস্তক অগ্নিতে আহুতি দিতে উদ্যোগী হলেন। এমন সময় অগ্নিদেব তার সন্মুখে উপস্থিত হয়ে রম্ভকে আটকালেন। তিনি রম্ভের ইচ্ছা পূরণ করতে মহাশক্তিমান পুত্র লাভের বর দিলেন। অগ্নি বললেন, যেকোনো স্ত্রী প্রাণীর সাথে মিলনে রম্ভ মহাবলবান পুত্র লাভ করবেন।
অগ্নির থেকে বর পেয়ে রম্ভ এক স্ত্রী-মহিষকে স্ত্রী স্বীকার করে সাথে মিলিত হলেন। অগ্নির বরে, সেই স্ত্রী মহিষ গর্ভবতী হল। এমন সময় এক পুরুষ মহিষ সেই মহিষীকে কামনা করল। তার হাত থেকে রম্ভ তার স্ত্রীকে পাতালে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে এলেন। কিন্তু সেই মহিষ সেখানে উপস্থিত হয়ে দানবরাজ রম্ভকে হত্যা করল। রম্ভের অনুচর যক্ষের দল সেই মহিষকে হত্যা করে রম্ভের সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে রক্ষা করল। তারপর যক্ষের দল তাদের রাজা রম্ভের দাহকাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিল। রম্ভের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী স্বামীর সাথে সহমরণে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। দাহকার্য চলাকালীন রম্ভের দেহ থেকে এক দানব জন্ম নিল, যিনি রক্তবীজ নামে পরিচিত হলেন। অপরদিকে রম্ভের চিতায় সহমরণে মৃত সেই মহিষীর এক পুত্রের জন্ম দিল। যক্ষরা সেই পুত্রকে দানবদের রাজা মেনে নিলেন। রম্ভের সেই পুত্রের নাম হল দানবরাজ মহিষাসুর।
🖋️ Prasenjit Adak
Knowledge Tree Education
Stay connected:
🔴 Youtube👉 www.youtube.com/KNOWLEDGETREEIndia
🔴Facebook 👉 Knowledge Tree Education
🔴Instagram👉 www.instagram.com/knowledge.tree.education
🔴 Twitter👉 www.twitter.com/KnowledgeTreeIn
#Email👉 mail2knowledge.tree@gmail.com
#knowledgeTreeEducation
🔴 Read more: https://prasenjitmythology.blogspot.com
https://knowledgetreeindia.blogspot.com
Comments
Post a Comment