থিয়োডর প্যাভি-র লেখা কাহিনী "লেস বাবউচেস দু ব্রাহামানে" ( "Les babouches du Brahamane" by Théodore Pavie) অবলম্বনে ১৮৮১-৮২ সালে ফরাসী অপেরার একটি কাহিনী (Libretto) লিখলেন এডমন্ড গন্ডিনেট এবং ফিলিপ গিল (Edmond Gondinet and Philippe Gille)। ১৪ই এপ্রিল ১৮৮৩ সালে সেই অপেরাটি প্রথমবারের জন্য প্যারিসে প্রদর্শিত হয়। অপেরাটির নামটি আজ আমাদের সকলের অতি পরিচিত, তবে নামটি অন্য কারণে বিখ্যাত হয়ে আছে। আজকে সেই অপেরার নাম নিয়ে কিছু কথা বলতে চলেছি। অপেরার নামটি এখনি বলছি না। তার আগে আর একটি কাহিনী বলি। ১৯৫০এর দশকের ভারতবর্ষ। স্বাধীন ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু মহাশয়। তার নজরে একটি বিষয় এল। ভারতীয় মহিলাদের জন্য প্রসাধনী সামগ্রীর জন্য কোনো দেশীয় কোম্পানী ছিল না, বিদেশী সংস্থার সামগ্রী গুলোর উপর দেশের মহিলারা নির্ভরশীল ছিলেন। তিনি চাইলেন, এই ব্যাপারে কোনো দেশীয় উদ্যোগপতি এগিয়ে আসুক, এমন এক সংস্থা বানানো হোক, যারা এদেশের নারীদের জন্য প্রসাধন সামগ্রী প্রস্তুত করবে। জওহরলাল নেহেরু মহাশয় ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ জানালেন জে আর ডি টাটাকে। কারণ, দেশের স্বার্থে তাঁর আগ্...
বারানসীর কাশীর বিশ্বেশ্বরগঞ্জে কোতোয়ালি থানা। থানার কোতয়ালের চেয়ারে কোনো মানুষ বসেননা, বা আরো ভালো ভাবে বলতে গেলে বসার সাহস দেখান না। সেই চেয়ারে বিরাজমান স্বয়ং কাল ভৈরব। কাল ভৈরব হলেন কাশীর কোতয়াল। তার আসনে বসার ক্ষমতা কারো নেই। দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিক পাশের চেয়ারে বসে দ্বায়িত্বভার পালন করেন। থানার অদূরেই কাশীর বিখ্যাত কাল ভৈরব মন্দির। সেই মন্দিরে অবস্থান করছেন স্বয়ং মহাকাল। কালভৈরব মহাদেবের অবতার। তিনি ভয়ংকর। বিনাশকারী। পদ্মের মত চক্ষু, বাঘ্র চর্ম পরিহিত, গলায় সর্পকুন্ডল, নরমুন্ডমালা। নীলকন্ঠী। বাহন কুকুরের উপরে তাঁর অধিষ্ঠান। হাতে ত্রিশূল, ডমরু এবং এক ব্রাহ্মণের দেহহীন মস্তক। স্বয়ং মহাদেব তাকে কাশীর কোতয়াল বা পালককর্তা নিযুক্ত করেছেন। কাশীতে স্বয়ং যমও প্রবেশ করেননা। কালভৈরব কাশীবাসী প্রজাদের রক্ষা করেন এবং তাদের পাপের সাজা তিনিই দেন। ১৮ মহাপুরাণের একটি শিব মহাপুরাণের শতরুদ্রসংহিতার অষ্টম অধ্যায়ে কালভৈরবের কাহিনী রয়েছে। আসুন জেনে নিই, সেই কাহিনী। কালভৈরবের জন্ম ও তাঁর মাহাত্ম্য উল্লেখ আছে মহা শিবপুরাণের শতরুদ্রসংহিতায়। একবার সকল দেবতাগণ এবং ঋষিগণ প্রজাপতি ব্রহ্মা...
✴ভারতীয় পুরাণে রয়েছে মানব বিবর্তনের কাহিনী ✴ 🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹 🚩 পৃথিবীতে মানুষ কিভাবে এল এই নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে চলেছেন। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে একের পর এক নতুন নতুন তথ্য উন্মোচন হয়ে চলেছে। তবে একটি বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই যে, পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের সঞ্চার মানুষ দ্বারা হয়নি। অন্য প্রাণী থেকে ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে আদিম হোমো হ্যাবিলিস (Homo habilis) থেকে আধুনিক হোমো সেপিয়েন্স মানুষের উৎপত্তি হয়েছে। এই নিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানে নানা মতবাদ প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু প্রাচীন ভারতীয় পুরাণ আজ থেকে প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০ বছর আগে মানব বিবর্তনের ধারনা লিপিবদ্ধ হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় পুরাণে। মৎস্যপুরাণ, অগ্নিপুরাণ, গরুড়পুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ইত্যাদি প্রাচীন হিন্দুধর্মগ্রন্থে ভগবান শ্রী বিষ্ণুর প্রধান দশ অবতারের উল্লেখ পাই। এএই দশ অবতারগুলিকে পর্যবেক্ষন করলে আমরা দেখতে পাব, এই দশ অবতারের মধ্যেই রয়েছে মানব বিবর্তনের ইতিহাস। আসুন, কিভাবে এই দশ অবতারের মধ্যে থেকে মানব বিবর্তনের ধারাটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। 🔶প্রথম অবতারঃ ...
Comments
Post a Comment