চন্দ্রাবতীর জীবনীঃঃ “ধারাস্রোতে ফুলেশ্বরী নদী বহি যায়/ বসতি যাদবানন্দ করেন তথায়।। ভট্টাচার্য্য বংশে জন্ম অঞ্জনা ঘরণী/ বাঁশের পাল্লায় তাল-পাতার ছাউনী।। বাড়াতে দারিদ্র-জ্বালা কষ্টের কাহিনী/ তার ঘরে জন্ম নিলা চন্দ্রা অভাগিনী।। সদাই মনসা-পদ পূজি ভক্তিভরে/ চাল-কড়ি কিছু পাই মনসার বরে।। শিব-শিবা বন্দি গাই ফুলেশ্বরী নদী/ যার জলে তৃষ্ণা দূর করি নিরবধি।। বিধিমতে প্রণাম করি সকলের পায়/ পিতার আদেশে চন্দ্রা রামায়ণ গায়।।” স্বরচিত রামায়ণের ভূমিকায় চন্দ্রাবতী নিজের আত্মপরিচয় দিয়েছেন এভাবেই। কাব্যের কথা নয়। চন্দ্রাবতী আসলেই অভাগিনী। তার জীবনে যে বেদনাবিধুরতা এসেছে, যে সকরুণতা এসেছে, তা খুব কম মানুষের জীবনেই এসে থাকে। অত্যন্ত করুণভাবে তরুণ বয়সেই সমাপ্তি ঘটেছে এই কবির জীবনের। নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ করুণ জীবনের কারণে পালা রচয়িতা থেকে নিজেই হয়ে উঠেছেন পালাগানের করুণরসে সিক্ত শোকাচ্ছাদিত নায়িকা। চন্দ্রাবতী মধ্যযুগের উল্লেখযোগ্য কবিদের মধ্যে অন্যতম এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম বাঙালি নারী কবি৷ এই বিদূষী নারী অন্যান্য কাব্য ছাড়াও পিতার আদেশে বাংলা ভাষায় রামায়ণ রচন...
গ্রীক পুরাণের আর একটি বিখ্যাত কাহিনী হল পার্সেফোনি এবং হেডেস-এর গল্প। গ্রীকদের দেবতাদের রাজা ছিলেন জিউস। জিউস-এর স্ত্রী ডিমিটার ছিলেন প্রকৃতি, কৃষিকাজ এর দেবী। তাদের কন্যা ছিলেন পারসেফোনি। পারসেফোনি ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী। তার রূপ মুগ্ধ ছিলেন অনেক দেবতারা। জিউসের ভাই, পাতালের রাজা হেডেস ছিলেন তাদেরই একজন। হেডেস পারসেফোনি'কে বিবাহ করার স্বপ্ন দেখতেন। সে প্রস্তাব তিনি দিয়েছিলেন জিউস এবং ডিমিটার'কে। জিউস রাজি থাকলেও ডিমিটার এই প্রস্তাব মেনে নেননি। পাতাললোকের দেবতার স্ত্রী! সেখানে তো শুধু মৃত আত্মার বাস! নিজের মেয়েকে কি এমন নরকে পাঠানো যায়! ডিমিটার হুমকি দিলেন, হেডেস যদি তার মেয়ের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তার ফল হবে ভয়ংকর। মা ডিমিটার রাজি না হলেও জিউসের সায় পেয়ে মনে বল পেলেন হেডেস। একদিন, পার্সেফোনি ফুলের বাগানে খেলা করছিলেন। মায়ের সৃষ্টি সুন্দর প্রকৃতির মধ্যে সে যেন মায়ের স্নেহের উষ্ণতা অনুভব করে। এমন সময় পায়ের নিচের মাটি কেঁপে উঠল। এক বিশাল ফাটলে ভাগ হল ধরিত্রী। সেই গহ্বর থেকে বিশালদেহী চারটি ঘোড়ায় টানা এক রথ বেরয়ে এল। সেই রথ থেকে নেমে এলেন হেডেস। পার্সেফোনি কিছু বুঝে ওঠার ...
✴ভারতীয় পুরাণে রয়েছে মানব বিবর্তনের কাহিনী ✴ 🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹 🚩 পৃথিবীতে মানুষ কিভাবে এল এই নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে চলেছেন। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে একের পর এক নতুন নতুন তথ্য উন্মোচন হয়ে চলেছে। তবে একটি বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই যে, পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের সঞ্চার মানুষ দ্বারা হয়নি। অন্য প্রাণী থেকে ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে আদিম হোমো হ্যাবিলিস (Homo habilis) থেকে আধুনিক হোমো সেপিয়েন্স মানুষের উৎপত্তি হয়েছে। এই নিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানে নানা মতবাদ প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু প্রাচীন ভারতীয় পুরাণ আজ থেকে প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০ বছর আগে মানব বিবর্তনের ধারনা লিপিবদ্ধ হয়েছে প্রাচীন ভারতীয় পুরাণে। মৎস্যপুরাণ, অগ্নিপুরাণ, গরুড়পুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ইত্যাদি প্রাচীন হিন্দুধর্মগ্রন্থে ভগবান শ্রী বিষ্ণুর প্রধান দশ অবতারের উল্লেখ পাই। এএই দশ অবতারগুলিকে পর্যবেক্ষন করলে আমরা দেখতে পাব, এই দশ অবতারের মধ্যেই রয়েছে মানব বিবর্তনের ইতিহাস। আসুন, কিভাবে এই দশ অবতারের মধ্যে থেকে মানব বিবর্তনের ধারাটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। 🔶প্রথম অবতারঃ ...
Comments
Post a Comment