ব্রহ্মা-সরস্বতীঃ কেন পিতা কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন? দেবী সরস্বতীকে সৃষ্টি করেছিলেন ব্রহ্মা। আবার এমন কথিত আছে যে, পিতা ব্রহ্মা তার সেই কন্যা সরস্বতীকেই বিবাহ করেছিলেন। সমাজের চোখে নিষিদ্ধ এই সম্পর্ক নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। জেনে নেওয়া যাক কাহিনীটি। কাহিনীটি এইরূপঃ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড রচনা করেছেন ব্রহ্মা। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে আরো সুন্দর, আরো সুশৃঙ্খল বানিয়ে তুলতে জ্ঞানও দরকার। এমনকি, স্বয়ং ব্রহ্মারও সেই জ্ঞান খুবই প্রয়োজন যাতে ব্রহ্মাণ্ড আরো সুন্দর হয়। সেই প্রয়োজনের তাগিদে তিনি সরস্বতীর সৃষ্টি করলেন। সরস্বতীকে সৃষ্টি করার পর ব্রহ্মা তার প্রতি এতোটাই আকৃষ্ট হয়ে পরেন যে তিনি তাকে বিবাহ করতে চাইলেন। কিন্তু দেবী সরস্বতী একথা জেনে চতুর্দিকে পালিয়ে বেড়াতে লাগলেন, তিনি কিছুতেই ব্রহ্মার সামনে আসতে চাইছেন না। কিন্তু তার রূপে বিভোর ব্রহ্মা যেদিকে সরস্বতী যান, সেই দিকেই তাকানোর জন্য চারটি মুখমন্ডলের সৃষ্টি করলেন। ব্রহ্মার দৃষ্টি এড়িয়ে আর তো পালানোর জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে দেবী সরস্বতী উর্দ্ধে গমন করলেন। কিন্তু তখন ব্রহ্মা তার পঞ্চম মুখমন্ডলের জন্ম দেন। ব...
সন্তানের পিতা এবং মাতা দুজনেই এক ব্যক্তি- এমন অদ্ভুত কাহিনী রয়েছে আমাদের পুরাণে৷ এমন দুটি কাহিনীর কথা বলব। প্রথম কাহিনীটি এরকমঃ রামচন্দ্রের পূর্বপুরুষ ইক্ষাকু বংশীয় এক রাজা ছিলেন যুবনাশ্ব। দীর্ঘদিন সন্তানহীন থাকায় রাজপুরোহিতগণ রাজার স্ত্রীর জন্য এক যজ্ঞের দ্বারা দৈব ঔষধি লাভ করেন। সেই ঔষধি পানের ফলে রানী গর্ভধারণ করবেন। এমন সময় ঘটে যায় এক দূর্ঘটনা। তৃষ্ণার্ত রাজা জলের সন্ধানে যজ্ঞস্থলে এসে এক কলসী দেখলেন। তখনো তিনি জানেন না রাজপুরোহিতগণের সাফল্যের কথা। জল ভেবে সেই ঔষধি তিনি পান করলেন। এর ফলে রাজা যুবনাশ্ব গর্ভবান হয়ে পড়েন। গর্ভাবস্থা সম্পূর্ণ হলে রাজার পেট কেটে গর্ভস্থ সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়েছিল। কে বলতে পারে, সেই শিশুই হয়তো বিশ্বের প্রথম সিজারিয়ান পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া শিশু। যুবনাশ্বের সেই পুত্রসন্তানের নাম মান্ধাতা (এনার নামেই "মান্ধাতার আমল" কথাটি এসেছে)। এবার বলি দ্বিতীয় কাহিনী। ব্রহ্মার অশ্রুবিন্দু থেকে এক বানরের জন্ম হয়েছিল। তার নাম ঋক্ষরজা। একদিন সুমেরু পর্বতে এক স্বচ্ছ সরোবরে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে সে ভাবল কোনো প্রতিপক্ষ বানর। এই ভেবে সে জলে ঝাপিয়ে পড়ল। সরো...
গ্রীক পুরাণের আর একটি বিখ্যাত কাহিনী হল পার্সেফোনি এবং হেডেস-এর গল্প। গ্রীকদের দেবতাদের রাজা ছিলেন জিউস। জিউস-এর স্ত্রী ডিমিটার ছিলেন প্রকৃতি, কৃষিকাজ এর দেবী। তাদের কন্যা ছিলেন পারসেফোনি। পারসেফোনি ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী। তার রূপ মুগ্ধ ছিলেন অনেক দেবতারা। জিউসের ভাই, পাতালের রাজা হেডেস ছিলেন তাদেরই একজন। হেডেস পারসেফোনি'কে বিবাহ করার স্বপ্ন দেখতেন। সে প্রস্তাব তিনি দিয়েছিলেন জিউস এবং ডিমিটার'কে। জিউস রাজি থাকলেও ডিমিটার এই প্রস্তাব মেনে নেননি। পাতাললোকের দেবতার স্ত্রী! সেখানে তো শুধু মৃত আত্মার বাস! নিজের মেয়েকে কি এমন নরকে পাঠানো যায়! ডিমিটার হুমকি দিলেন, হেডেস যদি তার মেয়ের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তার ফল হবে ভয়ংকর। মা ডিমিটার রাজি না হলেও জিউসের সায় পেয়ে মনে বল পেলেন হেডেস। একদিন, পার্সেফোনি ফুলের বাগানে খেলা করছিলেন। মায়ের সৃষ্টি সুন্দর প্রকৃতির মধ্যে সে যেন মায়ের স্নেহের উষ্ণতা অনুভব করে। এমন সময় পায়ের নিচের মাটি কেঁপে উঠল। এক বিশাল ফাটলে ভাগ হল ধরিত্রী। সেই গহ্বর থেকে বিশালদেহী চারটি ঘোড়ায় টানা এক রথ বেরয়ে এল। সেই রথ থেকে নেমে এলেন হেডেস। পার্সেফোনি কিছু বুঝে ওঠার ...
Comments
Post a Comment